সবনাজ মোস্তারী স্মৃতি
প্রত্যেকের জীবনে কিছু গল্প থাকে যা কাউকে বলা যায় না।লেখা যায় না। শুধু পাথরের ভারি বোঝার মত সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। মাঝে মাঝে সেই গল্পগুলো স্মৃতিচারণ করে কষ্ট পায়।কখনো চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পরে কখনো বা ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে।
আজ মনজুরির ঠিক কোনটা হচ্ছে সে বুঝতে পারছে না।বুকের ভেতর কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে যেটা কাউকে বলে বোঝানোর মত নয়।এত বছর পর আবার তার মাসুদের সাথে দেখা হবে তা কল্পনাও করেনি ।তবে এই ভাবে মাসুদের সাথে দেখা হোক তা কখনো চায়নি মনজুরি।মাসুদ এখন খুনের আসামি।চারটা খুনের দায় তার কাধে।
মনজুরির সামনে আজ যে মাসুদ দাঁড়িয়ে আছে সে শুধু মাত্র প্রাক্তন প্রেমিক নয় ,তার স্বামীর খুনি।
মনজুরি আর মাসুদের পরিচয় কলেজ জীবনে। প্রথমে বন্ধুত্ব আর সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম।তবে তাদের প্রেমের কথা জানতো না কেউ।হিন্দু আর মুসলিমের প্রেম বা বিয়ে কোনোটায় সমাজ মেনে নিবে না বুঝলেও কেনো যেনো দুজন দুজনকে ভালো না বেসে থাকতে পারেনি। আর এই ভালোবাসায় হয়তো তাদের জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
একটা সময় বাড়ি থেকে মনজুরির বিয়ে দিয়ে দেয়।কিছুই না বলে মুখ বুঝে বিয়ে করে নেয়।তবে খারাপ না ভালোই থাকে মনজুরি। সব মানিয়ে নিয়ে নতুন করে সংসারে মন দেয়।স্বামী শশুরবাড়ি ছাড়া যেনো কিছুই বুঝত না।তবে হঠাৎ করে একদিন খবর পায় তার স্বামী সায়ান খুন হয়েছে। সিথির সিদুঁর মুছে সাদা শাড়িতে নতুন সাজে সেজে উঠে মনজুরি।
আজ কোর্টের কাটগড়ায় মাসুদ দাঁড়িয়ে ।অন্য সময় হলে হয়তো মনজুরি এই দৃশ্য সহ্য করতে পারতো না । তবে আজ চাই মাসুদের ফাঁশি হোক।কারণ মাসুদের মত প্রাক্তনরা বেচেঁ থাকলে সায়ানদের মত স্বামীদের ভালোবাসার অপমান করা হবে।
সমাপ্ত
Leave a Reply