নিউজ ডেস্ক,লালসবুজের কণ্ঠ:
নাম তার প্রিন্স। চলে সে ঘোড়ার পিঠে। কারণ ঘোড়ায় চড়লে নাকি নায়ক বা রাজার মতো মনে হয়। এই ঘোড়াই তার বন্ধু।
প্রিন্সের বায়নার কারণে তাকে ঘোড়া কিনে দিয়েছেন বাবা শেখ শহীদ। তিনি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। বাবার কিনে দেওয়া ঘোড়ার পিঠে চড়েই সব জায়গায় যাতায়াত করে প্রিন্স।
তার এই ব্যতিক্রমী চলাচলে দৃষ্টি কেড়েছে স্থানীয়দের। কয়েক মাস ধরেই ঘোড়া নিয়ে স্কুল, বাজারসহ সব জায়গায় ছুটে চলছে প্রিন্স।
চিতলমারী থানার সামনের সড়কে দেখা হয় আব্দুল্লাহ আল প্রিন্সের সঙ্গে। সেখানে ঘোড়ার পিঠে চড়েই এসেছে সে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ঘোড়ার পরিবর্তে মোটরসাইকেল অথবা প্রাইভেট কার নেবে কি-না? হেসে প্রিন্স উত্তর দেয়, ‘কোনো কিছুর বিনিময়ে আমি ঘোড়া দেব না। কারণ ঘোড়ায় চড়লে নায়ক বা রাজার মতো মনে হয়। এমনিতেও আমার নাম প্রিন্স। এই ঘোড়া আমার বন্ধু। ঘোড়ার প্রাণ আছে, গাড়িগুলোর তো নেই। তা ছাড়া মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি শব্দদূষণ করে, বায়ুদূষণ করে। কিন্তু ঘোড়া অনেক ভালো, ওর সঙ্গে আমার অনেক বন্ধুত্ব।’
প্রিন্সের বাবা শেখ শহীদ জানান, চার মাস আগে ছেলেকে ঘোড়া কিনে দিয়েছেন। ঘোড়ার কারণে ছেলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়েছে। প্রিন্স চিতলমারী সদরের আধুনিক বেবী হোম কিন্ডার গার্টেনে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সে ইউটিউবে দেখেছে, আগের দিনে রাজারা কিংবা নায়কেরা ঘোড়ায় চড়ত। ঘোড়া পরিবেশবান্ধব। তাই ছেলের বায়না পূরণ করতে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে ঘোড়া কিনে দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ঘোড়ার পরিচর্যার জন্য আলাদা লোক রাখা আছে। তবে ঘোড়ার ক্রয়মূল্যের তুলনায় পরিচর্যায় ব্যয় বেশি হয়। ঘোড়াটি ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।
লালসবুজের কণ্ঠ/মৌ
Leave a Reply