শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
শরীয়তপুরে চন্দ্রপাড়া পীরের মুরিদেও জিকির করাকে কেন্দ্র কওে দু,গ্রুপের সংঘর্ষ, আংগুল বিছিন্নসহ আহত ২০ জন, এলাকায় উত্তেজনা।
শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় চনন্দ্রপাড়া পীরের মুরিদের জিকির করাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত আংগুল বিছিন্ন সহ ২০ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতদেও উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর দাদপুর গ্রামে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মালা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় হালেম মাদবরের ভাই মফেজ মাদবর সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার আগারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর দাদপুর গ্রামের চন্দ্র পাড়া পীরের মুরিদ হালেম মাদবর প্রায়ই রাতে শুড় চিৎকার দিয়ে জিকিরি করে। প্রতিদিনের ন্যায়গত পরশু শুক্রবার রাতে জিকির করার সময় প্রতিবেশী নান্নু মাদবরের ছেলে, সিরাজুল ইসলাম মাদবরের ছেলেসহ কয়েক জন মিলে তার বাড়ীতে রাতের আধারে ডিল ছেড়ে। এর জের ধরে গত কালল শনিবার রাতে প্রথমে নান্নু মাদবর সাথে হালেম মাদবরের কথা কাটাকাটি হয়। এর পর উভয় গ্রুপে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র রাম দা, ছেন দা, টেটা, ভল্লম নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় গ্রুপে এমদাদ মাদবর (৫০), মালেক মাদবর (৬০), আব্দুল হক মাদবর (৪২), ফারুক মাদবর(৩০), বাবুল মাদবর (২৩), শাহ আলম মাদবর (৪০), ইমন মাদবর (২০), রানী বেগম (৩০), রেবেকা বেগম(৩০), আনোয়ার মাদবর (৩০), লোকমান খান(৪০), বাবুল মাদবরের ডান হাতের বৃদ্ধা আংগুল বিছিন্ন সহ ২০ জন মারাত্মক আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সড়র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশংকা জনক অবস্থায় আংগুল বিছিন্ন বাবুল মাদবর ও আব্দুল হক মাদবর কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার গভীর রাতে পালং মডেল থানায় চন্দ্রপাড়া পীরের মুরিদ হালেম মাদবর বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হান্নান মাদবর নামে একজন কে আটক করেছে। এলাকায় চড়ম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলার বাদী ও চন্দ্রপাড়া পীরের মুরিদ হালেম মাদবর বলেন, আমি প্রতিদিনের মত জিকির করছিলাম। নান্নু মাদবরের ছেলেরা মিলে আমার ঘরে ডিল ছোড়ে আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। এ পর সংঘর্ষ বাধে।
নান্নু মাদবর বলেন, ডাক চিৎকার দিয়ে হালেম মাদবর জিকির করার কারনে কে বা কারা ডিল ছোড়েছে। এ জন্য আমাদের মসজিদের ইমামসহ সবাইকে সে বকাবকি করেছে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়েছে।
পালং মডেল থানার বার প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, জিকির করাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে। একজনের আংগুল বিচ্ছিন্নসহ ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজন কে গ্রেফতার করেছে।
নিউজ ডেস্ক/শান্ত
Leave a Reply