নিউজ ডেস্ক, লালসবুজের কণ্ঠ
বরগুনার পাথরঘাটায় স্কুলছাত্র জিয়াউর রহমান রনি হত্যা মামলায় দুই কিশোরকে আট বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটার কাঁঠালতলী গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে তরিকুল ইসলাম (১৭) ও তার বন্ধু একই এলাকার মকিম খানের ছেলে মনির হোসেন (১৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটার কালিকাপুর গ্রামের আবদুল মান্নান গাজীর ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জিয়াউর রহমান রনি ও একই এলাকার আবদুল বারেকের মেয়ে পপি আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারা সহপাঠী ছিল। কিন্তু পপির ভাই তরিকুল এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।
পরে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পপির ভাই তরিকুল ও তার বন্ধু মনির হোসেন স্কুলছাত্র রনির বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে আনে। রাতে রনি বাড়িতে না আসায় পরদিন তার মা পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। একই দিন আসামিরা রনির পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার ৭ দিন পর ২২ ফেব্রুয়ারি রনির মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত রনির মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই মামলা করেন।
ওই মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান আসামি তরিকুল ইসলাম ও মনির হোসেনকে আট বছর করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মামলার অপর আসামি পপিকে খালাস দেন আদালত।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আসামিরা নাবালক হওয়ায় আট বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাবালক হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতো। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুল আমীন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। উচ্চ আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল।
নিউজ ডেস্ক/শ্রুতি
Leave a Reply