লালসবুজের কন্ঠ,নিউজ ডেস্ক
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ফাইফারে চাপেই পড়েছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সিকান্দার রাজা ক্যামিও ফিফটিতে ১৩৫ রানের লড়াকু পুঁজি পেল রোডেশীয়রা। ফলে জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার ১৩৬ রান।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের ঘূর্ণিতে শুরুতে ভালো হলো না স্বাগতিকদের। ইনিংসের প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হন ওপেনার রেগিস চাকাভা। আর ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে শেখ মেহেদি হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওয়েসলি ম্যাধভেরে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে এবার জিম্বাবুয়ের দলনেতা ক্রেইগ এরভিনকে সাজঘরে ফেরান মোসাদ্দেক। আউট হওয়ার আগে ১ রান করেন এরভিন। এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে এবার শেন উইলিয়ামসকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান এই ডানহাতি স্পিনার। উইলিয়ামস করেন ৮ রান।
টস হারা বাংলাদেশ দলের অধিনাক নুরুল হাসান সোহান ইনিসের প্রথম ওভারটা তুলে দেন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। এই টাইগার স্পিনারের ঘূর্ণিতে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে দল। ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হন ওপেনার রেগিস চাকাভা।
আর ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে শেখ মেহেদি হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওয়েসলি ম্যাধভেরে। নিজের শেষ ওভারে মিল্টন সুম্বাকে ফেরান মোসাদ্দেক। সুম্বা ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেছেন মাত্র তিন রান।
ষষ্ঠ উইকেটে রায়ার্ন বার্লকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া জিম্বাবুয়ে দলের হাল ধরের সিকান্দার রাজা। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তাতেই একশর গণ্ডি পেরিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৩১ বলে ৩২ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন বার্ল।
এদিকে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ম্যাচেও অর্ধশতকের দেখা পান সিকান্দার রাজা। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস থামে ৬২ রানে। ৫৩ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি চারটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। ৬ রান করেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। আর ১০ রানে লুক জংইউ ও শূন্যরানে রিচার্ড এনগারাভা অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানের খরচায় সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এছাড়া একটি করে উইকেট উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।
নিউজ ডেস্ক/স্মৃতি
Leave a Reply