1. [email protected] : News room :
রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট: বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল যাত্রীবাহী ট্রেনের দাবি - লালসবুজের কণ্ঠ
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট: বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল যাত্রীবাহী ট্রেনের দাবি

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২

রাজশাহী প্রতিবেদক:


ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ত্রিদেশীয় বাণিজ্য রেলরুট বাংলাদেশের রহনপুর-ভারতের সিঙ্গাবাদ। এ রুট দিয়ে ত্রিদেশীয় (বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল) যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়টি এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

১৯৯০ সালে এই রুট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। এখন এ রুট দিয়ে ভারত ও নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত হয়ে নেপালেরও রেল বাণিজ্য চালু হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে ঘিরে বিষয়টি চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণ। এ রুট দিয়ে বর্তমানে ত্রিদেশীয় বাণিজ্য চালু রয়েছে।

১৮৬২ সালে ব্রিটিশ আমলে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়েই প্রথম অবিভক্ত পূর্ব বাংলার সঙ্গে ভারতের রেল যোগাযোগের সূচনা হয়। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হলে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এ রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরুর উদ্যোগ নেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরই অংশ হিসেবে ১৯৯০ সালে এই রুট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। এখন এ রুট দিয়ে ভারত ও নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত হয়ে নেপালেরও রেল বাণিজ্য চালু হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে পাঁচটি রেলরুট চালু রয়েছে তার অন্যতম প্রধান রেলরুট হচ্ছে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ। ত্রিদেশীয় রেল যোগাযোগের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে এ রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দুই দেশের জনপ্রতিনিধিরা। এ ছাড়া এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে যাত্রীরা ভারতের মালদহ হয়ে যাতায়াত করতে পারবে সারা ভারতে।

সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে দেখা করে রাজশাহী-কলকাতা রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। অপরদিকে রাজশাহী-রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

তা ছাড়া ভারত-নেপালের সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানীর দূরত্বও অনেক কম। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালি রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করে গেছেন সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীও।

এ প্রসঙ্গে রহনপুর রেলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেলরুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান।


টিআর/এআর

34Shares

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর