মহানগর সংবাদদাতা,ঢাকা:
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ পূর্ণমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গভবনে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ১১ জুলাই ইমরান আহমদকে মন্ত্রী এবং বেগম ফজিলাতুন নেসাকে প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ দান করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ পদোন্নতি পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন।
এ মুহূর্তে এ মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী নেই। আর ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এ মন্ত্রণালয়েও কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ মন্ত্রণালয়ের দেখভাল করে আসছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৯’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। তবে কারা শপথ নিচ্ছেন- সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি মেয়াদে এটা মন্ত্রিসভায় দ্বিতীয়বারের রদবদল। মন্ত্রিসভার একজন প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে এবং একজন নতুন প্রতিমন্ত্রী যোগ হচ্ছেন।
এর আগেও গত মে মাসে মন্ত্রিসভায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। ওই সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে শুধু স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী করা হয়। স্বপন ভট্টাচার্যকে দেওয়া হয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে দেওয়া হয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব। এ ছাড়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
Leave a Reply